ডিহাইড্রেশনে শরীরে দেখা দেয় যেসব উপসর্গ
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২৬-০৪-২০২৫ ০৪:৪৬:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৬-০৪-২০২৫ ০৪:৪৬:২৯ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
শরীরে পানিশূন্যতা বা পানির স্বল্পতাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ডিহাইড্রেশন। এটি হলো শরীরের পানিশূন্যতা বা পানির স্বল্পতার একটি অবস্থা। খুবই অল্প পরিমাণে পানি পান করলে ব্যক্তির শরীরে পানিশূন্যতা বা পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এ ছাড়া ব্যায়াম, রোগ বা পরিবেশগত উচ্চ তাপমাত্রার কারণেও শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
আমাদের শরীরে ৭০ শতাংশ পানি। দেহে এ ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ৩ লিটার পানি করা উচিত। এর চেয়ে কম পরিমাণে পানি পান করলেই শরীরে ড্রিহাইড্রেশন সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিমিত পানি পান করা ছাড়াও ডায়রিয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপে থাকা, অতিরিক্ত শরীর চর্চা, প্রচুর পরিমাণে শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়ার কারণেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
শরীরে ড্রিহাইড্রেশন সমস্যা থাকলে শরীরে বেশকিছু উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এগুলো হলো মাথাব্যথা, বারবার গলা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বারবার পানি পিপাসা পাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, পেশিতে টান পড়া, চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া, চোখের দৃষ্টিগত সমস্যা দেখা দেয়া, হজমে সমস্যা হওয়া, পরিপাক তন্ত্রের কাজ ব্যহত হওয়া ইত্যাদি।
এ ছাড়াও শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। ত্বকে দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। প্রসাবের পরিমাণ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রসাবের রং হয়ে যায় হলুদ।
পানি মূলত মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু পানি খাওয়ার পরিমাণ কমে গলে এ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণের অভাব শুরু হয়। যেকারণে ডিহাইড্রেশনে ভোগা ব্যক্তির মুখে দেখা দেয় দুর্গন্ধ।
শরীরে পানির অভাব হলে অল্পতেই ক্লান্তিবোধ অনুভূতির জন্ম নেয়। দেখা দেবে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাও। যা হঠাৎ করেই হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বাড়িয়ে দেয়।
তাই এ গরমের সময় ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সবারই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। মনে রাখবেন, স্বল্প মাত্রার ডিহাইড্রেশন পানি পান করার মাধ্যমে ঠিক হয়ে গেলেও গুরুতর ডিহাইড্রেশনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স